সোয়েব সাঈদ, রামু
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ৬ শ্রেণি পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। আত্মহত্যার শিকার মুরশিদা আকতার রামুর ঈদগড় ইউনিয়নের হাসনাকাটা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে এবং ঈদগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল রবিবার (৩১ জানুয়ারি) মুরশিদা আকতারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, মুশিদা আকতারের বাবা আলী হোসন ওই এলাকায় আহামদু কোম্পানীর রাবার বাগানে ট্রেপার হিসাবে কাজ করতেন। বাবার সাথে কয়েকবার কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগে মুরশিদার সাথে ঈদগড় পশ্চিম পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলমের পুত্র মো ফারুকের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সম্পর্ক এক পর্যায়ে শারিরীকি পর্যায়ে গড়ালে মুরশিদা আকতার বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিলে প্রেমিক ফারুক তাতে রাজি হননি। সম্প্রতি রাবারা বাগানে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকালে ওই প্রেমিক জুটি স্থানীয়দের হাতে ধৃত হয়। বাগানের কর্মচারি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা তাদের বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেও ফারুকের মত না থাকায় ব্যর্থ হন।
এদিকে প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার জেরে ক্ষোভ আর অপমানে রবিবার বিকাল ৪ টার দিকে পার্শ্ববর্তী বাইশারী ইউনিয়নের ডলুরঝিরি রাবার বাগানে গাছের সাথে উড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করে মুরশিদা।
রাবার বাগানের কর্মরত শ্রমিকরা (ট্রেপার) মুরশিদার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে পুলিশকে অবহিত করে। বাইশারী পুলিশ ফাড়ির ইনচাজ এসআই আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন মুরশিদার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত: